December 22, 2024, 6:58 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
আশি বছরের এক বৃদ্ধকে ঘুষি দিয়ে হত্যার অভিযোগে চুয়াডাঙার জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালত দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নো শহিদুল ইসলাম জেলে পাঠিয়েছে ।
আজ দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলে পাঠানোর নিদের্শ দেন।
তার আগে শুক্রবার রাতে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। শহিদুল স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশাণী নেতা ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান মামলাটি দায়ের করেন নিহত ইসরাফিল মন্ডলের নাতি আলামিন হোসেন। ঘটনার দিন ইসরাফিল মন্ডলের সাথে তার নাতি আলামিন হোসেনকেও বেধরক মার দেন শহিদুল।
আলামিনের মামলায় মোট আসামী ৫ জন। শহিদুল হলেন ১ নম্বর আসামী। অনান্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিপক্ষ গ্রুপের নজরুল, ওহাব লিয়াকত ও আসকার।
এ ঘটনায় নিহত ইসরাফিল মোল্লা দামুড়হুদা উপজেলার পীরকুল্লা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
এামলার বিবরণে জানা যায়, জমিজমার বিষয় নিয়ে ইসরাফিল থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন। অপরপক্ষও পাল্টা অভিযোগ করেন। উভয়পক্ষকে থানায় নিয়ে এসে সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নেন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক।
বিরোধপূর্ণ জমিজমার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার মীমাংসার রেজাল্ট ইসরাফিলের পক্ষে যায়। কিন্তু শহিদুল এতে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি মীমাংসার বিষয়ে তিনি যেভাবে বলবেন সেভাবে মেনে নিতে ইসরাফিলকে চাপ দেন। এক পর্যায়ে ইস্রাফিল থানা থেকে বের হয়ে আসেন এবং শহিদুলকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করেন। এ সময় প্রতিপক্ষের নজরুল, ওহাব ও লিয়াকত ইসরাফিলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।’
এক পর্যায়ে ইসরাফিলকে ঘুষি মারেন ভাইস চেয়ারম্যান। এতে ইসরাফিল রাস্তার ওপর পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঐ রাতেই নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় এবং। অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়।
দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মনসুর বাবু শনিবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন যেহেতু আদালত তাকে জেলে পাঠিয়েছেন সেহেতু এটি এখন প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।
Leave a Reply